নিজস্ব প্রতিবেদক:
সারা বিশ্বে চলমান কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে গত ৪ মাস অন্যান্য শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশের মতো বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের রোটেশন কার্যক্রমও স্থগিত ছিল। ফলে শান্তিরক্ষীদের পর্যায়ক্রমিক মিশন এলাকায় প্রেরণ কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছিল। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত একটি সময়োপযোগী নির্দেশিকা প্রদান করেছেন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এই নির্দেশনা অনুসরণ করে দ্রুত কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করায় চলমান সীমাবদ্ধতা অতিক্রম করে আবারো নিয়মিত রোটেশন শুরু করা সম্ভব হয়েছে।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতরের (আইএসপিআর) সহকারী পরিচালক রাশেদুল আলম খান এ তথ্য জানান।
এ প্রেক্ষিতে বুধবার মিনুসমা (মালি) মিশনের প্রথম রোটেশন ফ্লাইটে ইথিওপিয়ান এয়ার লাইন্স এর বোয়িং ৭৬৭-৩০০ ইআর যোগে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩টি কন্টিনজেন্টের ২৯ জন অফিসার, ১০ জন জেসিও
এবং ৯২ জন অন্যান্য পদবীসহ ১৩১ জনের প্রথম দল হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে মালির উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছে।
পরবর্তীতে আগামী ১৪ ও ১৮ জুলাই আরো দুইটি ফ্লাইটে ৪২২ জন এবং আগস্ট মাসের প্রথম ২ সপ্তাহে আরো ৩টি ফ্লাইটে ৬৫০ জন শান্তিরক্ষী মালির উদ্দেশ্যে যাত্রা করবে।
একই সঙ্গে আগামী ১০, ১৫ এবং ১৮ জুলাই ৫৫৩ জন এবং আগস্ট মাসের প্রথম ২ সপ্তাহে ৩টি ফ্লাইটে ৬২৭ জনসহ ১ হাজার ১৮০ জন শান্তিরক্ষী মালিতে ১ বছর ৩ মাস শান্তিরক্ষা কার্যক্রম সফলতার সঙ্গে সম্পন্ন করে
দেশে প্রত্যাবর্তন করবে।
Leave a Reply