জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক :
ফাইল ফটো
করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে আসন্ন ঈদুল আজহার নামাজের জামাত ঈদগাহ বা খোলা জায়গার পরিবর্তে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বেশ কিছু নির্দেশনা অনুসরণ করে নিকটবর্তী মসজিদে আদায় করার জন্য অনুরোধ করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। এক্ষেত্রে প্রয়োজনে একই মসজিদে একাধিক জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
রোববার (১২ জুলাই) বিকেলে এ তথ্য জানান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার আনোয়ার হোসাইন।
নির্দেশনার বিষয়ে তিনি জানান, ঈদের নামাজের জামাতের সময় মসজিদে কার্পেট বিছানো যাবে না। নামাজের আগে সম্পূর্ণ মসজিদ জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। মুসল্লিরা প্রত্যেকে নিজ নিজ দায়িত্বে জায়নামাজ নিয়ে আসবেন। করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে মসজিদে অজুর স্থানে সাবান বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখা, মসজিদের প্রবেশমুখে হ্যান্ড স্যানিটাইজার বা হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করা, প্রত্যেককে নিজ নিজ বাসা থেকে অজু করে আসা এবং অজুর সময় কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিতে হবে। ঈদের নামাজের জামাতে আসা মুসল্লিকে অবশ্যই মাস্ক পরে মসজিদে আসতে হবে। মসজিদে সংরক্ষিত জায়নামাজ ও টুপি ব্যবহার করা যাবে না। ঈদের নামাজ আদায়ের সময় কাতারে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে দাঁড়াতে হবে ও এক কাতার পর কাতার করতে হবে।
শিশু, বয়োবৃদ্ধ, যেকোনো অসুস্থ ব্যক্তি এবং অসুস্থ ব্যক্তিদের সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তি ঈদের নামাজের জামাতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।
এছাড়া স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, স্থানীয় প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নির্দেশনা অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে। মসজিদে জামাত শেষে কোলাকুলি এবং পরস্পর হাত মেলানো পরিহারের অনুরোধ করা হচ্ছে।
করোনাভাইরাস মহামারি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ঈদের নামাজ শেষে মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে দোয়া করতে খতিব ও ইমামদের অনুরোধ করা হচ্ছে। খতিব, ইমাম ও মসজিদ পরিচালনা কমিটি উল্লিখিত বিষয়গুলো বাস্তবায়ন নিশ্চিত করবে।
এসব নির্দেশনা লঙ্ঘিত হলে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনী সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবে।
Leave a Reply