নিজস্ব প্রতিবেদক:
নগর ভবনে ডিএসসিসি মেয়রের সঙ্গে বাংলাদেশ প্লাস্টিক দ্রব্য প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের নেতাদের সৌজন্য সাক্ষাৎ
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও বাসযোগ্য নগরী গড়ে তুলতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনে ব্যবসায়িক নেতাদের আন্তরিক সহযোগিতা চেয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
মঙ্গলবার নগর ভবনে ডিএসসিসি মেয়রের সঙ্গে বাংলাদেশ প্লাস্টিক দ্রব্য প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিজিএমইএ) নেতাদের সৌজন্য সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন তিনি।
ডিএসসিসি মেয়র বলেন, আপনাদের সব ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান বিশেষত মার্কেট ও দোকানের ময়লা-আবর্জনা দিনের বেলায় উন্মুক্ত স্থানে বা রাস্তার ওপর আর ফেলবেন না। সারাদিনের ময়লা-আবর্জনা সংরক্ষণ করে সন্ধ্যা ৬টার পর থেকে রাত ১০টার মধ্যে তা আমাদের সংগ্রহকারীর কাছে হস্তান্তর করবেন। বাকি ব্যবস্থাপনা সিটি কর্পোরেশনের মাধ্যমে সম্পন্ন করা হবে। আপনাদের এটুকু সহযোগিতা বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আমূল পরিবর্তন সাধনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
দাহ্য পদার্থ সংশ্লিষ্ট নয় এমন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানকে ট্রেড লাইসেন্স প্রদানের অনুরোধ জানালে বাংলাদেশ প্লাস্টিক দ্রব্য প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিজিএমইএ) নেতাদের আশ্বস্ত করেন শেখ ফজলে নূর তাপস। তিনি বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখে, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সহযোগিতা করা হবে।
ব্যবসায়ী নেতারা এই খাতের বিদ্যমান সমস্যা ও সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করে শিল্প-নগরীতে স্থানান্তর না হওয়া পর্যন্ত পুরান ঢাকার শিল্প-কারখানাগুলো চলমান রাখার স্বার্থে ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন ও ইস্যু করার অনুরোধ জানান।
উত্তরে মেয়র বলেন, গুরুত্ব সহকারে আপনাদের অনুরোধ বিবেচনা করা হবে। কিন্তু সেজন্য এ সংক্রান্ত অন্যান্য বিষয়াদি, এরইমধ্যে গঠিত টাস্টফোর্স ও কমিটিগুলোর মতামত মূল্যায়ন ও পর্যালোচনা করা হবে।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বিপিজিএমইএ’র সভাপতি জসিম উদ্দিন, বাংলাদেশ সু-ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি খোকা শিকদার, সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ্ মো. ইমদাদুল হক, পাদুকা প্রস্তুতকারক সমিতির সভাপতি শাহীন খান, মৌলভীবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. এনায়েত উল্লাহ, সু-মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি আখতার হোসাইন, বিপিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি শামীম আহমদ, বিপিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি ইউসুফ আশরাফ, বিপিজিএমইএ’র সাধারণ সম্পাদক নারায়ন চন্দ্র দে, বিপিজিএমইএ’র সহ-সভাপতি কে এম ইকবাল হোসাইন এবং এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক হাফেজ হারুন।
Leave a Reply