বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) শিক্ষার্থীদের মেসে ঢুকে হামলার ঘটনায় দুই পরিবহন শ্রমিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকাল সোয়া ৯টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা ফয়সাল রুমি।
এর আগে রাত ২টার দিকে বরিশাল নগরের রুপাতলী বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। গ্রেপ্তাররা হলেন, সাউথ বেঙ্গল পরিবহনের হেলপার মো. ফিরোজ মুন্সী ও এমকে পরিবহনের সুপারভাইজার আবুল বাশার রনি। তারা দুজনেই রুপাতলী এলাকার বাসিন্দা। পুলিশ জানিয়েছে, দুজনকেই একটি বাসের মধ্য থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এদিকে তাদের বিষয়টি নিশ্চিত করে বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি নুরুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার গভীর রাতে নগরীর রুপাতলী হাউজিং এলাকায় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের মেসে হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের মামলা দায়েরের পর শুক্রবার রাতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। ওই রাতে নগরের রুপাতলী বাসস্ট্যান্ড থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তারা হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছে। বাকি হামলাকারীদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে মঙ্গলবার রাতে পরিবহন শ্রমিকদের হামলার স্বীকার ও বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের অন্যতম নেতা মাহামুদুল হাসান তমাল জানান, বরিশাল নগরের রুপাতলী হাউজিং এলাকার ২২ নম্বর রোডে আমাদের হারুন অর রশিদ ছাত্রাবাসে হামলার ঘটনা ঘটে। যে ভবনের উল্টোপাশে থাকা মুসা প্যালেসের সিসি ক্যামেরায় হামলার পুরো ঘটনা রেকর্ড হয়েছিলো। কিন্তু শুক্রবার সন্ধ্যার পর ডিবি পরিচয়ে সেই সিসি ক্যামেরার ফুটেজগুলো ডিলেট করে দেয়া হয়। ওই সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখলেই হয়ত জানা যেত কারা হামলা চালিয়েছে।
আরও জানা গেছে, গত মঙ্গলবার দুপুরে রুপাতলী বিআরটিসি বাস কাউন্টারে মারধর ও লাঞ্চিত করা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীকে। এরপর রাতে রুপাতলী হাউজিং এলাকার বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের মেসে হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে পরিবহন শ্রমিকদের বিরুদ্ধে। এতে ১১ শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হলে তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হামলার প্রতিবাদ ও এ ঘটনায় মামলা দায়েরসহ হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বুধবার সকাল থেকে ঢাকা কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করা হয়। ১০ ঘণ্টা পর প্রশাসনের আশ্বাসে অবরোধ প্রত্যাহার করা হয়।
হামলার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মামলা দায়েরের পর সেই মামলা প্রত্যাখান করে পুনরায় শুক্রবার সড়ক অবরোধ ও মশাল মিছিল করে শিক্ষার্থীরা। এরপর পুনরায় ১৩ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেয় তারা।
Leave a Reply